জামেয়া ওয়েবসাইট

শুক্রবার-২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব বিচিত্র

বিশ্ব বিচিত্র

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী (দা. বা.)-কে বাংলাদেশ-সফরে আনার সিদ্ধান্ত

মালয়েশিয়ার হলুলাংগাত মিফতাহুল উলুম মাদরাসা মিলনায়তনে গত ২৯ এপ্রিল আয়োজিত বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের সম্মেলনে সময় সুযোগ নিয়ে বিশ্ববরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ হযরত শায়খ সুফি জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী সাহেব দা. বা.কে বাংলাদেশে সফরে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্ত নেন মালয়েশিয়ায় শায়খ নকশবন্দীর ইসলাহী মুলতাকায় যোগ দেওয়া বাংলাদেশি ওলামায়ে কেরাম। ঢাকা ফরিদাবাদ মাদরাসার মুফতি মাওলানা ইমাদুদ্দীনকে এ উদ্যোগের আহ্বায়ক করা হয়।

এ ছাড়াও প্রতিমাসে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সালেকিনদের ইজতেমা আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত হয় ওই প্রতিনিধি সম্মেলনে।

নোয়াখালীর মাওলানা শাব্বির আহমদ (দা. বা.)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া (দা. বা.), শায়খ মাওলানা মুহাম্মদ (দা. বা.), মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ (দা. বা.), মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভী (দা. বা.), ঢালকানগরের মুফতি জাফর আহমদ (দা. বা.), মুফতি মাসউদুল করিম (দা. বা.), ড. মাওলানা মাহমুদুল হাসান আযহারী (দা. বা.), মুফতি ইমাদুদ্দীন (দা. বা.)। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আল-আকসার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে মুসলমানরা নীরব: ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ইসলামের প্রথম কেবলা হিসেবে পরিচিত তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসার ভয়ানক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলছে না বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমান। মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দখলদার ইহুদিবাদী পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রামাযানে ইহুদিদের নিপীড়ন আরও বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন ফিলিস্তিন মন্ত্রী। নামাযরত অবস্থায় মুসল্লিদের মারধর, জোর করে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া এবং মসজিদে ঢুকতে না দেওয়ার মতো ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে বলে তিনি জানান। ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে জেরুজালেমে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরাও পবিত্র মসজিদটিতে ঢুকে মুসল্লিদের মারধর করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমের আশপাশ এলাকাও দখল করে নিয়ে এটিকে ইহুদি রাষ্ট্রটির রাজধানী বলে দাবি করা হচ্ছে।

কোমল পানীয়তে ভয়াবহ বিপদ: গবেষণা

প্রচণ্ড গরমে শরীরকে চাঙা করতে কোমল পানীয় খেয়ে থাকি আমরা। সব বয়সী মানুষের কাছে এই কোমল পানীয় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চিনি দিয়ে বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এসব খাবারের কারণে হৃদরোগ এবং কয়েক ধরণের ক্যান্সারের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য বেড়িয়ে আসে। গত ৩০ বছর ধরে চালানো গবেষণাটির ফলাফল গতমাসে প্রকাশিত হয়। সারা বিশ্বের ৩৭ হাজার পুরুষ এবং ৮০ হাজার নারীর ওপর ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

পুষ্টিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, একটি ৩৩০ গ্রাম কোমল পানীয়র বোতলে প্রায় ১০ শতাংশজুড়ে থাকে শর্করা ও ক্যাফেইন। এর জেরে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও মানসিক অস্থিরতার সমস্যা তৈরি হতে পারে।

বেদুইন তাঁবুর আকৃতিতে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ যে মসজিদ

বেদুইনদের তাঁবুর আকৃতিতে নির্মিত শাহ ফয়সাল-

মসজিদটির অবস্থান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের উত্তরে মনোহর মারগালা পর্বতের পাদদেশে। মারগালা হিমালায় পর্বতের অংশ। সাধারণ মসজিদের প্রচলিত যে কাঠামো তার সাথে এ মসজিদের ভেতর-বাইরের অবকাঠামোর তেমন মিল নেই। সে কারণে এ মসজিদকে ইসলামের আধুনিক স্থাপত্যের একক নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশা ফয়সালের আর্থিক সহায়তায় ১৯৭৬ সালে নির্মাণ শুরু হয় এ মসজিদের। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সফরের সময় তিনি এ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে পাকিস্তানকে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর নির্মাণখরচ হয় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৯৭৫ সালে বাদশা ফয়সাল নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার তার নামে নামকরণ করে এ মসজিদের। এর নকশাকার তুরস্কের স্থপতি ভেদাত ডালোকে। গম্বুজবিহীন এ মসজিদের আটটি ঢালু ছাদ রয়েছে। মসজিদের দেয়াল থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত সূর্যের আলো প্রবেশের এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, মনে হয় সর্বত্র লাইট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মসজিদের তিন দিকে সবজু বনবেষ্টিত পাহাড় শ্রেণি। এক দিকে পরিকল্পিত সাজানো ইসলামাবাদ শহর। মসজিদের চার দিকে বিশাল খোলা চত্বর সবুজ বেষ্টনী দ্বারা চিহ্নিত। ওপর থেকে দেখলে সাজানো ছবির মতো মনে হয় মসজিদটিকে। মসজিদে যাওয়ার ফয়সাল অ্যাভিনিউর দুই পাশ মনোরম ফুলের গাছে সাজানো। এর মুসল্লি ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ৭৪ হাজার। এর মধ্যে মূল প্রার্থনা কক্ষে এক সাথে ১০ হাজার, মসজিদের প্রবেশ পথের বর্ধিত অংশে ২৪ হাজার এবং মসজিদের সামনের শাহানে ৪০ হাজার মুসল্লি সালাত আদায় করতে পারে। তবে মসজিদের বাইরের খোলা চত্বরসহ পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সে এক সাথে আড়াই লাখের ওপর লোক জড়ো হতে পারে।

এথেন্সে প্রথম সরকারি

মসজিদ খুলছে শিগগির

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এথেন্সের প্রথম সরকারি মসজিদে-

নামায আদায় করবেন মুসুল্লিরা। এতে প্রায় ১৮০ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে এথেন্সের মুসলিমদের। ২০১৬ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই মসজিদটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে এর নির্মাণকাজ চলছিল। শিক্ষা ও ধর্মমন্ত্রী কোস্টাস গাভরোগলু গ্রিসের শিল্প এলাকা এলিওনাসে মসজিদটির নির্মাণস্থলে গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখেন।‘এথেন্স মসজিদের ইমাম খুব শিগগিরই প্রথম নামাযটি পড়াবেন। বড়জোর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ বলেন গাভরোগলু।

মসজিদটিতে সাড়ে ৩০০ মানুষ একসঙ্গে নামায পড়তে পারবেন। মিনারবিহীন এই স্থাপনাটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় সোয়া ৮ কোটি টাকা। মিনার না থাকলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটি পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত এথেন্সের মুসলিমরা।

১৮৩৩ সালে উসমানীয় শাসকদের হাত থেকে গ্রিস মুক্ত হওয়ার পর এথেন্সে আর কোনো মসজিদ ছিল না। বর্তমানে বৃহত্তর এথেন্সে প্রায় তিন লাখ মুসলিমের বাস। ১৮৯০ সালে গ্রিসের সংসদে এথেন্সে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হলেও তা নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। এথেন্স একমাত্র ইউরোপীয় রাজধানী, যেখানে মসজিদ ছিল না। এতদিন অস্থায়ী ও ব্যক্তিগত জায়গায় এথেন্সের মুসুল্লিরা নামায আদায় করতেন। তবে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সীমান্তের কাছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এর আগে মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

কাশ্মীরের শিশু আসিফার ধর্ষণ মামলায় জনের কারাদণ্ড

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের কাঠুয়ায় আট বছর বয়সী শিশু অঅসিফাকে গণধর্ষণ, নির্যাতন ও খুনের দায়ে দোষী ছয়জনের তিনজনকে যাবজ্জীবন আর তিনজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এক সরকারি কর্মকর্তা, চার পুলিশসহ আট আসামির মধ্যে সোমবার ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

গত বছরের ১০ জানুয়ারি যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাকে কাঠুয়ার একটি মন্দিরে আটকে রেখে মাদক খাইয়ে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তাকে কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি। ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে ওই শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার মূল হোতা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সঞ্জি রাম, তার ছেলের বন্ধু পারভেশ কুমার ও পুলিশ দীপক খাজুরিয়াকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আর তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে আট বছরের মেয়ে আসিফার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় শুনতে যেতে পারেনি তার পরিবার।

মামলার রায় যখন বের হয়, তখন কাশ্মীরের কাঠুয়া উপত্যকায় ভেড়া ও ছাগল চরাচ্ছিল আসিফার পরিবার। তারা জানেও না যে ওই দিন মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ আসিফার মা যখন জানতে পারেন তার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ছয়জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে, কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান, মামলার রায় শুনতে পাঞ্জাবের পাঠানকোট শহরে যাওয়ার মতো অর্থসংস্থান তাঁদের নেই। কিন্তু রায় শুনে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান তিনি।

ঢাকায় হাজার বিদেশি অপরাধীর বসবাস!

খুন থেকে শুরু করে অস্ত্র, মাদক ও জাল ডলার ব্যবসা,

সন্ত্রাসী তৎপরতা, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, মানব পাচারসহ বিদেশিদের নানা অপরাধের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন বলেন, ২০ দেশের কমপক্ষে ৫ সহস্রাধিক নাগরিক রাজধানী ঢাকায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। এর মধ্যে শতাধিক রয়েছেন যারা নিজ দেশের দাগী অপরাধী। নাম-ঠিকানা পাল্টে বাংলাদেশে আত্মগোপনে থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অপরাধের কর্মকাণ্ডে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় অপরাধে জড়িত বিদেশি নাগরিকদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গত ১ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ (অটোমেটেড টেলার মেশিন) থেকে অত্যাধুনিক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সময় ইউক্রেনের এক নাগরিককে আটক করেন বুথের নিরাপত্তাকর্মী। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ ইউক্রেনীয়কে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বরে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও জালিয়াতির অপরাধে জড়িত বিদেশি নাগরিকদের ধরতে রাজধানীর রামপুরা, গুলশান ও উত্তরার ১৪৭টি বাড়িতে একযোগে অভিযান চালানো হয়। অপরাধে জড়িত অবৈধ ৩১ জন আফ্রিকান নাগরিক আটক করে পুলিশ।

ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্যামেরুনের ৩ নাগরিক পেরেজ ইফরেইন, সেন কেরিন ন্যাটি ও মিকো স্যান্ডিও নাটালিকে সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা থেকে জাল ডলার ও ডলার তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করে ডিবি।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি জাল ডলার, ইউরো, রূপিসহ গুলশানের নিকেতন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক জিংগে ফিলিং সিফু, ক্যামেরুনের সামজেলা ক্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। ওই বছরের ১১ জুন কারওয়ান বাজার হোটেল লা-ভিঞ্চি থেকে সোয়া ৩ কেজি কোকেনসহ জুয়ান পাবলো রেফায়েল নামে পেরুর এক নাগরিক এবং ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে মদসহ কামারা কাডে, কোনজি লোভেনিয়া এবং রবার্টো মিলি মনোনো নামে গিনি ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিককে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ২২ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে অবৈধ বিপুল ভিওআইপি সরঞ্জামসহ চীন ও তাইওয়ানের ৩৭ নাগরিককে গ্রেফতার করে র্যাব। এর আগে ১৮ এপ্রিল সাভারে একটি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পেরুর নাগরিক ব্রিট জে লুডাভিগসেন শাকাতা ও ভারতের স্যাম্পাত কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা খুন, প্রতারণা, মাদক ব্যবসা, জাল টাকা তৈরি, ভিওআইপি ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।

দৃষ্টিহীনদের জন্য ডিজিটাল কুরআন বানাচ্ছেন সৌদি গবেষক

দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের। এমনকি ধর্মীয় চর্চা কিংবা ইবাদতও তারা ঠিকমতো পালন করতে পারেন না। চোখের আলো না থাকায় কুরআন পড়তেও পারেন না তারা। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তায় সৌদি উদ্ভাবক মিশাল আল-হারাসানি একটি ডিজিটাল মাসহাফ তৈরিতে কাজ করছেন। এতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা অনায়াসে কুরআন পড়তে পারবেন।বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ৩০ বছর বয়সী উদ্ভাবক মিশালের সর্বশেষ আবিষ্কার হতে যাচ্ছে এই ডিজিটাল মাসহাফ।

তিনি বলেন, কাজেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সহজেই কুরআন পড়তে পারবেন এবং একটি পাতা থেকে আরেকটি পাতায় সহজেই যেতে পারবেন তারা। পুরো কুরআন ওই বোর্ডের ভেতর নিবন্ধিত থাকবে। এ গবেষকের ডিজিটাল মাসহাফ তৈরির কাজ চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ মুসল্লির ওমরাহ আদায়ের ব্যবস্থা করছে সৌদি প্রতি বছর অন্তত এক কোটি ৫০ লাখ মুসল্লি যাতে পবিত্র ওমরাহ আদায়ের উদ্দেশে বায়তুল্লাহ শরিফ জিয়ারত করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিচ্ছে সৌদি আরব। ২০২০ সালের মধ্যেই সৌদি সরকার এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে। সৌদির হজ ও ওমরাহ উপমন্ত্রী মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আল-বায়জাবী বলেছেন, চলতি মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬ লাখ মুসল্লি ওমরাহ পালনের উদ্দেশে কাবা শরিফে এসেছেন। ২০২০ সাল থেকেই প্রতি বছর যাতে কমপক্ষে দেড় কোটি মুসল্লি ওমরাহ আদায় করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সৌদি আরব ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি মক্কা-মদীনায় দ্রুত আসা যাওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ মেট্রোরেল।

আবু তারিক হিজাযী

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ