বুকের নদী
মাহমুদুল হাসান নিজামী
কাপছে মম বুকের নদী
ডিঙি নাও এর মত
কোন অধরা ভয়ের দানব
করছে তাড়া অবিরত।
বুকের ভেতর দুখের নদী
ভাঙছে দু’কুল নিরবধি
যদি কিছু হয়
বুকের পাশে ভয়
ভয় যে কখন বলতে পারো?
বয়স যখন সেই আঠারো
রঙ মাখানো সেই সোহাগে
ভয়ের শিহরন
সেই স্মৃতিটা আজো আমার
প্রনয় অনুরণ।
রক্তাক্ত আরাকান
মুহাম্মদ ইসমাঈল
হে পৃথিবী শুনছো
আমার আর্তনাদ—
আমি রক্তাক্ত আরাকান থেকে বলছি
যেখানে নেই কোন উদাত্তের দিক বা দিগন্ত
আছে শুধু আকাশ ঝড়া অগ্নিলীলা
তুমি কি দেখ না?
শাহ পরীর দ্বীপের জিন্দা লাশ
তুমি কি দেখো না
নাফ নদীর ভাসমান লাশ
তুমি কি দেখোনা
বাড়ির চাতালে পোড়া লাশ
এক রাক্ষসী দাঁড়কাক তার বিষাক্ত থাবায়
গ্রাস করেছে লাখো রোহিঙ্গাদের প্রাণ।
ও নির্দয় নির্বাক পৃথিবী
তুমি কি আমার চূড়ান্ত পরিচয় দিবে না
তুমি কি আমার মুখের বাঁধন থেকে মুক্তি দিবে না?
আমি রোহিঙ্গা বলে আমাকে বাঁচতে দিবে না?
আমি তো মানুষ
তোমরা ও মানুষ
তোমরা যেমন বাঁচবে
আমি ও বাঁচবো।
রোযার দুটি কবিতা
হ. ম. সাইফুল ইসলাম মনজু
(১) রোযার মাসে রহম
রোযার মাসে রহম হয়ে
বৃষ্টি এলো ধেয়ে,
রিমঝিমিয়ে ঝরছে নিচে
গাছগাছালি বেয়ে।
নিখিল পেলো প্রাণ
ধরলো নব তান
সজীব হল বন-বনানী
হাসলো নভে চেয়ে,
রোযার মাসে রহম হয়ে
বৃষ্টি এলো ধেয়ে।
প্রভুর দয়া-ধারা,
কেমন দিলো সাড়া!
ভাবছি কি তা কেউ কখনো
এই করুণা পেয়ে!
রোযার মাসে রহম হয়ে
বৃষ্টি এলো ধেয়ে।
(২) জাগছে মনে ডর
শুদ্ধকরণ শক্তিসমেত
এসেছিলে হেসে,
সময়শেষে নিজের মতই
হাঁটছো বিদায়বেশে।
কেউ জানিনা হৃদয়কালি
কাদের হলো সাফ,
কোন সে পাপীর রোদনজলে
গোণাহ হলো মাফ!
কাদের ভালে জুটলো রহম
মুক্তি হলো লেখা,
কাদের হৃদয় করলো গ্রহণ
শুদ্ধিকরণ শেখা!
এখন তোমার বিদায়বেলা
জাগছে মনে ডর,
কোথায় যে হয় শেষ ঠিকানা
শেষবিচারের পর!
শুভ নববর্ষ
গোফরান উদ্দীন টিটু
নতুন আলোয় ভালোয় ভালোয়
সেজেছে এই ভোর
আয় রে খোকা আয় রে খুকু
আয় রে খুলে দোর।
নতুন পাখি গান ধরেছে
আয় রে ছুটে আয়
আয় চামেলি পাখপাখালি
আয় রে বোন ও ভাই।
আয় রে হাসি আয় রে খুশি
আয় রে আমার সুখ
এ আনন্দে ছন্দে ছন্দে
আয় রে ভরাই বুক।
আয় রে জীবন আয় খুলে মন
প্রাণেরই গান গাই
আজ বছরের প্রথম দিনে
খুশির সীমা নাই।
আয় রে আপন জীবনযাপন
আয় রে সুখি মুখ
আয় রে দুখি সূর্যমুখি
আয় রে ভুলে দুখ।
আয় রে প্রিয় স্মরণীয়
বরণীয় আয়
নতুন বছর রাঙিয়ে তুলি
শুভ এ ভাবনায়।